Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ মে ২০২৪

ইতিহাস ও কার্যাবলি

রাজশাহীর ইতিকথা :

          যতদুর জানা যায় অনুমান ১২০০ খ্রিস্টাব্দের পূর্ব হতেই ভারত উপমহাদেশে "মহাকালগড়" নামে একটি জেলার আত্মপ্রকাশ ঘটে। কালের বিবর্তনে মহাকালগড় নাম পরিবর্তীত হয়ে অনুমান ১৭০০ খ্রিস্টাব্দে "রাজশাহী" জেলা নামকরণ হয়। ইষ্ট ইণ্ডিয়া শাসন পরবর্তী সময়ে ভারত উপমহাদেশ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুইটি দেশ গঠিত হয়। তৎসময়ে বর্তমান বাংলাদেশ পূর্ব পাকিস্তান নামে পশ্চিম পাকিস্তানের সাথে রয়ে যায়। অনিয়ম, অপশাসন ও বৈমাত্রিক আচরণের কারণে ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাকিস্তানের নিকট হতে বাংলাদেশ নামের একটি দেশ স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীন বাংলাদেশের বর্তমান আটটি বিভাগের মধ্যে রাজশাহী অন্যতম একটি বিভাগ। যা নদীমাতৃক বাংলাদেশের বৃহৎ নদী স্রোতস্বীনি প্রমত্তা পদ্মার উত্তর তীরে অবস্থিত। সিল্ক সিটি খ্যাত এই রাজশাহী শহর সিল্ক পণ্যের জন্য বিখ্যাত। পর্যটকদের জন্য বৃহত্তর রাজশাহী (বর্তমান রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাই নবাবগঞ্জ) জেলায় রয়েছে অনেক ঐতিহাসিক নিদর্শন। রয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ, রুয়েট, রাজশাহী কলেজ সহ উপমহাদেশের নামকরা অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ফলশ্রুতিতে রাজশাহীকে শিক্ষানগরী বলা হয়ে থাকে।  সিল্ক সিটি' নামে খ্যাত এই রাজশাহী শহর সিল্ক পণ্যের জন্য বিখ্যাত। ভারতীয় উপমহাদেশ সহ বিশ্বব্যাপী "রাজশাহী সিল্ক" পণ্যের নাম সমাদৃত। যা পর্যটকদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। ১৯৫২ সালে রাজশাহী শহরের সিরোইল এলাকায় প্রথম তুঁত গাছের মাধ্যমে রেশম পোকার চাষ শুরু হয় । ১৯৬১ সালে রেশম কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। রেশম নামক এক প্রকার হলদেটে রং- এর পোকার লালা থেকে উৎপাদিত সুতা দিয়ে হয় সিল্কের  বুনন। সিল্ক উৎপাদনের এই প্রণালীকে বলা হয় সেরিকালচার বা রেশম শিল্প। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশের রাজশাহীতে সিল্কের উৎপাদন শুরু হলেও মূলত সুদূর চীন দেশে সর্বপ্রথম সিল্কের উৎপাদন শুরু হয়।  উত্তর বঙ্গের একটি ঐতিহাসিক অঞ্চল হলো বরেন্দ্র অঞ্চল, যা বর্তমানকালের বাংলাদেশ; নির্দিষ্টভাবে বৃহত্তর দিনাজপুর, রংপুর, পাবনা, রাজশাহী ও বগুড়া জেলা জুড়ে বিস্তৃত। আশেপাশের প্লাবনভুমি থেকে বরেন্দ্রভূমি তুলনামূলকভাবে উচ্চতর অবস্থানে থাকায় এটি ক্রমান্বয়ে ঢালুু। বরেন্দ্র অঞ্চলের প্রায় ৪৭ শতাংশ উঁচুভূমি, প্রায় ৪১ শতাংশ মধ্যম উঁচুভূমি এবং অবশিষ্টাংশ নিম্নভূমি হওয়ায় এই অঞ্চলে প্রায়শই উচু-নিচু ভূমি পরিলক্ষিত। অতীতে পানির জন্য এলাকাটিকে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপরই নির্ভর করতে হতো। ফলে বরেন্দ্র অঞ্চলে বর্ষা মৌসুমে মাত্র একটি ফসল ফলানো সম্ভব হতো। ফলশ্রুতিতে বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের ফসল ফলাতে নাভিশ্বাস উঠে যেতো। তাই বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষের অর্ধাহার অনাহারে থাকা ছিল নিত্যদিনের। কৃষকদের জীবন জীবিকা নির্বাহে এই বরেন্দ্র অঞ্চলেই বীর নেত্রী ইলা মিত্রের নেতৃত্বে 'লাঙ্গল যার জমি তাঁর' স্লোগানে কৃষি উৎপাদনের দুই-তৃতীয়াংশের দাবিতে সংগঠিত হয়েছিল বর্গাচাষিদের তেভাগা আন্দোলন যার জনক ছিলেন কৃষক নেতা হাজী মোহাম্মদ দানেশ। রাজশাহী জেলায় এই আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করে এবং অবশেষে সফল হয়। বরেন্দ্র ভূমিকে সহজেই একটি উষ্ণ ও শুষ্কভূমি হিসেবে শনাক্ত করা যায়। গ্রীষ্মে অত্যধিক তাপমাত্রা এবং শীতে অত্যধিক ঠান্ডাই হচ্ছে বরেন্দ্রভূমির আবহাওয়ার অন্যতম বৈশিষ্ট্য। দেশের অন্যান্য এলাকার জলবায়ু থেকে বরেন্দ্র অঞ্চলে সুস্পষ্টরূপে ভূ-প্রাকৃতিক চরম জলবায়ু পরিলক্ষিত হয়। জমির সুষ্ঠ ব্যবহার ও সফল উৎপাদনের লক্ষে ব্যাপক গবেষণায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলনের পন্থা আবিষ্কারের মাধ্যমে সেচ কার্যের ব্যবস্থা করা সম্ভব হওয়ায় এখন বছর জুড়ে এই বরেন্দ্রভূমিতে সকল প্রকার ফসল উৎপাদন সম্ভব হচ্ছে। খাঁখাঁ বরেন্দ্রভূমি এখন সবুজ অরণ্যের উপত্যকা। পর্যটনবান্ধব বৃহত্তর রাজশাহীর পদ্মা নদী সংলগ্ন টি-বাঁধ, লালন মঞ্চ, চিড়িয়াখানা, জাদুঘর, মতিহার চত্বর খ্যাত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহ্ মখদুম (রাঃ) সাহেবের মাজার, পুঠিয়া রাজবাড়ী, নাটোরের দীঘাপতিয়া রাজবাড়ী বা গণভবন, গ্রীণ ভ্যালী পার্ক, চলনবিল, নওগাঁর পাহাড়পুর, রবীন্দ্রনাথের পতিসর কুটিবাড়ী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনা মসজিদ, তোহাখানা দর্শনে দেশীয় দর্শনার্থী সহ প্রচুরসংখ্যক পর্যটক গমনাগমন করেন। এইসকল দর্শনার্থী ও পর্যটকদের গমনাগমনকালে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা বিধানকল্পে নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে চলেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ, রাজশাহী তথা ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ। যে কারণে দেশী-বিদেশী দর্শনার্থী ও পর্যটকগণদের বাংলাদেশের ট্যুরিস্ট স্পট সমূহে গমনাগমনে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। 

 

ট্যুরিস্ট পুলিশ রাজশাহী রিজিয়নের গঠন

পর্যটন শিল্প বিকাশে অন্যতম প্রধান শর্ত ট্যুরিজম সিকিউরিটি। ট্যুরিস্ট পুলিশ রাজশাহী রিজিয়ন রাজশাহী রিভাগের পর্যটন স্পটসমূহে পর্যটক ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা প্রদানকারী গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ট্যুরিস্ট পুলিশ, রাজশাহী রিজিয়ন, রাজশাহীর আওতাধীন বগুড়া, নওগাঁ, জয়পুরহাট, নাটোর, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বিভিন্ন ট্যুরিস্ট স্পট সমূহ ও ট্যুরিস্টদের নিরাপত্তা প্রদানই ট্যুরিস্ট পুলিশ, রাজশাহী রিজিয়নের মূল লক্ষ্য। ট্যুরিস্ট পুলিশ রাজশাহী রিজিয়ন, ট্যুরিস্ট পুলিশ বাংলাদেশ এর একটি অংশ। রাজশাহী বিভাগের ট্যুরিস্ট স্পট সমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ২০১৭ সালে ট্যুরিস্ট পুলিশ রাজশাহী রিজিয়নের কার্যক্রমের সূচনা করে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে  নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

বর্তমান অফিস জনবল

  • ট্যুরিস্ট পুলিশ রাজশাহী রিজিয়ন, স্কাই গার্ডেন (পাঁচ তলা ভবন) বালিয়াপুকুর ছোটবটতলা, ঘোড়ামারা-৬১০০, বোয়ালিয়া, রাজশাহী মহানগর।
  • ০৩ টি জোন

০১) রাজশাহী জোন।

০২) বগুড়া জোন।

০৩) নওগাঁ জোন।

বর্তমান অনুমোদিত জনবল

পুলিশ সুপার (এসপি)-০১

সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি)-০১

পুলিশ পরিদর্শক-০৪

এসআই-১০

এএসআই-১৬

এএসআই (সঃ)-০১

নায়েক-০৩

কনস্টেবল-২৫

ক্লিনার বাবুর্চি-০৩

মোট ৬৪

 

 

বর্তমান ডিউটি স্পট

  • জেলা ০৩ টি 
  • বর্তমানে আয়ত্তাধীন পর্যটন স্পট-১০ টি

 

ট্যুরিস্ট পুলিশ রাজশাহী রিজিয়নের কার্যক্রম

 

  • ট্যুরিস্টদের শরীর ও সম্পত্তি সম্পর্কিত অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ
  • ট্যুরিস্টদের শরীর ও সম্পত্তি সংক্রান্ত ফৌজদারি মামলার গুণগত তদন্ত নিশ্চিতকরণ
  • পর্যটন স্পটসমূহে আইন—শৃঙ্খলা রক্ষা
  • দেশি—বিদেশি পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদান
  • পর্যটকদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণ
  • চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইমুক্ত পর্যটন এলাকা নিশ্চিতকরণ
  • ইকো—ট্যুরিজম ও পরিবেশ সংক্রান্ত আইন বাস্তবায়নে প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান
  • ট্যুরিস্ট স্পটসমূহে পর্যটকদের তাৎক্ষণিক তথ্যসেবা প্রদান এবং প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
  • হ্যালো ট্যুরিস্ট অ্যাপস, ফেসবুক, ওয়েবসাইট, হটলাইনসহ বিভিন্ন প্রচার—প্রচারণার মাধ্যমে পর্যটকদের সচেতনতা বৃদ্ধি